পোস্টগুলি

বাস্টার্ড

বাস্টার্ড ! কে সে , আহ কি সুন্দর একটা শব্দ বাস্টার্ড ! এই শব্দের মানে কি বেজন্মা ? আহ কি ভুল শব্দ মানুষ কি বেজন্মা হতে পারে ? মানুষ হতে হলে তাকে তো জন্ম নিতেই হয় ,সে কেন তবে বেজন্মা হবে ? উবু হয়ে বসে ভাবতে থাকে সলিম । সলিম পাগলা ,সবাই তাকে পাগল বলে কেন? আহ আর একটা ভুল শব্দ , ওরা কি জানে মগজের ভিতর কি এক উথাল পাথাল শব্দ হয় ঠিক যেন গহিন সমুদ্রের ঢেউ ,কিন্তু হায় সলিম কখনো সমুদ্র দেখে নি , তবে সে কিভাবে জানলো গহিন সমুদ্রে কেমন ঢেউ ওঠে ? হুড়মুড় করে ট্রেন চলে আসলে সলিমের চটকা ভাঙে ,আহারে ট্রেন ভর্তি গিজগিজে মানুষ প্লাটফর্মে নামার প্রতিযোগিতা শুরু করে দেয় ,মানুষের কেন এত তাড়াহুড়ো ? কোথায় পৌঁছতে চায় তারা ?আদৌ কি গন্তব্যে পৌঁছনো হয় মানুষের ? সলিমের মগজে হিম হিম কুয়াশা নামতে থাকে ,আর ভর দুপুরে এক স্টেশন মানুষের মাঝে সলিমের নাকে লাগে কড়কড়ে গরম ভাতের গন্ধ ,আর সে তাকিয়ে থাকে অলস সাপের মত এলিয়ে পড়া ট্রেনটির দিকে , ও ট্রেন কখন যাবে গো ? সে কি পৌঁছবে গন্তব্যে ? আর সলিম আগাছার মত গজিয়ে ওঠা দাড়ি চুলকাতে চুলকাতে এগিয়ে যায় , কে যেন তার হাতে ধরিয়ে দেয় চকচকে দশ টাকার নোট , সে কি তবে গরম ভাতের লোভে হাত পেতেছ

জিহাদ অথবা ঘেয়ো রোদের প্রার্থনা

রোদ জ্বলা খাঁ খাঁ দুপুর ,আর ঠিক সেই সময় তিব্র পানির পিপাসা পেলে তমিজের মনে পড়ে যায় ভেজা ভেজা একজোড়া ঠোঁটের কথা ,আর সেই সাথে কালো তিব্র গভীর চোখের কথা মনে পড়তেই তমিজ দেখতে পায় সমুখে ভেসে চলে বড় গাঙের তিব্র চকচকে পানি ,আর তমিজের বড় বেশি পিপাসা পেতে থাকে ,পানি অথবা নারী অথবা একটা তিব্র চুমুর । আর তমিজ চারপাশে খাঁ খাঁ শূন্যতার তেজে বড় বেশি বিষন্ন আর কিছুটা বেচাইন হয়ে পড়ে আর তার মনে পড়তে থাকে সালেহার কোমড়ের ভাঁজের কথা , আর শরীরের ক্ষতে একটা নীল মাছি এসে বসলে তার মনে পড়তে থাকে যে পাঁজরের পাশ ঘেঁষে বিঁধে আছে এক টুকরো তীক্ষ্ণ ইস্পাত । বোমা টা ফাটার মুহূর্তে সে সরে পড়তে চেয়েছিল ,জীবন থেকে নয় পুলিশের নজরের আঁচ থেকে । অথচ এই খাঁ খাঁ রোদের উত্তাপে অনেক দূরে আকাশের সীমানায় কিছু একটা উড়তে দেখে সে ,আর তমিজের মনে পরে বড় মসজিদের গোরা ঈমামের কথা ,তার টকটকে ফর্সা মুখে কুচকুচে দাড়ি একেবারে সাদা চামড়ার বিদেশিদের মত লাগত তাই গ্রামের লোকে তার নাম দিয়েছিল গোরা ঈমাম । তার লাশ তিনদিন পড়ে ছিল বড় গাঙের ধারে ,আর তার বুকের উপর একটা ধুসর শকুন বড় বেশি বিষন্ন ভঙ্গিতে শুষে নিচ্ছিল রোদের ওম অথচ সেই লাশে একটা ঠোকর ও

টুকে রাখা পঙক্তি

আমরা জীবনের গভীরে আরো কতিপয় জীবন দেখি ফেলি ,আর আমরা দেখি যে যাপনের গভীরে লুকিয়ে আছে এক নৈসর্গিক বিষণ্নতা আর আমরা যাপনের গভীরতর প্রান্তে দাঁড়িয়ে খুব গোপনে দেখে ফেলি জীবনের অনন্ত সার্কাস ,আর আমাদের মনে পড়ে যে আমরা কাব্য এবং নারী সমীপে নিজেকে নিবেদন করা ছাড়া আর কোন মহৎ মানে খুঁজে পাইনা । আর আমাদের তৈরি করে নিতে হয় নিজস্ব দৃশ্যপট ,আর আমরা দেখি যে আমাদের পূর্ব পুরুষেরা গা থেকে জল ঝড়িয়ে নেমে আসে শুকনো ডাঙায় ,আর আমরা সেইসব দৃশ্যে শব্দ বসাতে ব্যার্থ হয়ে জীবনের দিকে মুখ রেখে নিদারুন আবৃতি করি আরো কতিপয় জীবন

তসলিমা ও আমাদের চুল্কানি

পুলিশ পাহারায় চুমা চুমি চলতেছে কি? কেউ তো আপডেট দিচ্ছে না, এর মাঝে একজন বন্ধু মানুষ তসলিমা নাসরিনের স্ট্যাটাস ইনবক্সে শেয়ার করলেন, তসলিমা নাসরিন কি লিখেছে আমি জানিনা বন্ধু শেয়ার করিলেন //"তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপিয়ান প্রেমিককে তো চুমু খেয়েছিই, ঘোর পূর্ণিমা-রাতে সেক্স করেছি নির্জন সমুদ্রপাড়ে, করেছি চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে। সেক্স সবসময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষের, নারী-নারীর, পুরুষ-পুরুষের, ট্রান্সজেন্ডারের, কুইয়ারের। অ্যানিমেলদের কাছে, বিশেষ করে বনোবোদের কাছ থেকে শেখা উচিত সেক্স নিয়ে কী করে উৎসব করতে হয়। বনোবোরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় প্রাণী। কারণ তারা কলহ কোন্দল মিটিয়ে নেয় সেক্স করেই। বনোবোদের সঙ্গে মানুষের ডিএনএ'র সবচেয়ে বেশি মিল। আমি বুঝিনা বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গেছে, আর কত দূরে সরবে! মানুষগুলো দিন দিন দুপেয়ে রবোট হয়ে উঠছে। আসলে সঙ্
আর এইসব রাতে আমাদের চারপাশে যখন গহিন অন্ধকার , সেইসব সময়ে আমরা বড় বেশি বীষ পুষে রাখি অভ্যান্তরে আর আমাদের মনে পড়ে যে আমরা কাটিয়ে এসেছি পুরোটা মহাকাল , যখন আকাশের ওপারে একটা বিন্দু ছড়িয়ে পড়েছিল তখন ও আমি মিশে ছিলাম সিমাহীন গহীন অন্ধকারে , আর তারপর কেটেছে কতটা কাল আর আমি বিপর্যস্ত পরিব্রাজক ! আর আমাদের ছিল না রাস্তা খুঁজে ঘরে ফেরার তাড়া , আর আমরা গহীন অন্ধকারে এসে ভিড়েছিলাম নীল এক গ্রহে ,যেখানে আমরা ভেজা গায়ে উঠে পড়েছিলাম সৈকতে ! তারপর কেটেছে আরো কতটা কাল আমরা হাটতে হাটতে ক্রমশ কেটেছে ঘোর ! তারপর আমরা নাগরিক জঞ্জালে খুড়েছি মাথা আর আমরা ক্রমশ কংক্রীটের দেয়াল তুলে ক্রমশ ঢাকতে চেয়েছি তীব্র বিষন্নতা আর যুগান্তের বয়ে চলা সময়ের অভিশাপ ! আর আমরা আখেরে ফিরে যেতে সেইসব অন্ধকারে আর আমরা আপাতত এই ক্লান্ত অস্তিত্বটুকু ভুলে যেতে চাই !
আর সেইসব নারী গন বলে যে আমরা কতিপয় মানুষী অতঃপর নারী হয়ে উঠি আর ক্রমশ আমরা যাপন করি নামানুষী জীবন, আর চার দেয়ালের অভ্যান্তরে কেটে যায় পুরোটা যাপন, আর তারা এইসব নাগরিক টানাপোড়েন এড়িয়ে একটা হাসের মতই ভেসে থাকে আর বছর ঘুরতেই বিয়োতে থাকে নতুন জীবন।

আমাদের এই বহমান সময়ে আমরা আসলে কে?

আমাদের এই বহমান সময়ে আমরা আসলে কে? এই যে আমাদের চেতনা, সবার থেকে আলাদা হবার এই যে প্রেরণা, কেন? কেউ মালা কেউ তসবি গলে তাইতে তো জাত ভিন্ন বলে -বলেছিলেন লালন। আবার সিলেটী কবি হাসন রাজা বড় আক্ষেপ করে বলে গেলেন "কি ঘর বানাইমু আমি শূন্যের ও মাঝার।" এই যে আমাদের অস্তিত্ব, বহমান সময়ে খানিকক্ষণ টিকে থাকা, আসলেই কি আমাদের অস্তিত্ব এর কোন মহান মানে আছে? মানুষের এই চিরন্তন হতাশা দূর করতেই যুগে যুগে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন আরোপিত মতবাদ। আর অস্তিত্ব সংকটে ভোগা বুদ্ধিমান মানুষ আঁকড়ে ধরেছে সেইসব মতবাদ কে নিজের সিমাহীন হতাশা দূর করার তাগিদেই। দুনিয়ার বুকে হতাশ আর lঅস্তিত্ব সংকটে ভোগা মানুষের জন্য খুবই চমৎকার একটা মতবাদ হচ্ছে ধর্মীয় মতবাদ। এখানে মানুষ কে অমর করে রাখবার লোভ দেখানো হয়, বলা হয় একবার মাত্র মৃত্যু হবে আর তারপর আছে অনন্তকালের জিবন যার কোন শেষ নাই। এই একটা কথাই মনে হয় আব্রাহামিক ধর্ম গুলো পৃথিবী ব্যাপি ছড়িয়ে পড়ার মূল কারন। মানুষ অবচেতনেই তার নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় অনন্তকাল, যখন ধর্ম তার আধ্যাত্মিকতার বানী নিয়ে আর্বিভূত হলো তখনই মানুষ পেল সপ্ন নিয়ে বেচে থাকার মত অবলম্বন। একজন ঈশ